ইমেইল মার্কেটিং কি

বিজ্ঞাপনের জগতে সবচেয়ে সহজ, সস্তা এবং দ্রুত উপায়ে আপনার পণ্যর বিজ্ঞাপন ভোক্তাদের কাছে পৌঁছানোর সবচেয়ে কার্যকারি পদ্ধতি হল ইমেইল মার্কেটিং। আপনি কি বিক্রি করছেন সেটা কোন বিষয় নয়। এক ক্লিকেই আপনার সার্ভিসটি সম্ভাব্য হাজার হাজার গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন।

কি কারনে করবেন ইমেইল মার্কেটিং?

মানুষ অফিসে থাকুক, বাসায় থাকুক অথবা ভ্রমণরত অবস্থায় থাকুক সে মেইল পড়তে পারে। সুতরাং আপনার বার্তাটি খুব সহজেই পাঠাতে পারবেন আপনার গ্রাহকদের কাছে। কিছু পরিসংখান দেখলেই আমরা বুঝতে পারবো কেন আমরা ইমেইল মার্কেটিংকে এত গুরুপ্ত দিব।

১. সোশ্যাল মিডিয়ার মাদ্ধমে যেখানে মানুষ ০.৫৯% পন্য কিনেছে সেখানে ইমেইল মার্কেটিং এর মাদ্ধমে কিনেছে ৪.২৪%।

২. ফেইসবুক বা টুইটারের চেয়ে নতুন গ্রাহকদের জন্য ইমেইল মার্কেটিং ৪০ গুণ বেশি কার্যকর।

৩. ৭২% মানুষ প্রমোশনাল অফার গুলো ইমেইলে পেতে পছন্দ করে, যেখানে সোশ্যাল মিডিয়াতে মানুষের বিজ্ঞাপন পছন্দের হার মাত্র ১৭%।

৪. একটি টুইটার ক্যাম্পেইনের থেকে একটি ইমেইল ক্যাম্পেইনে ৬ গুণ বেশী ক্লিক পড়ে।

৫. রিটার্ন অব ইনভেস্টমেন্ট ৪১% (প্রতি ১ ডলার ব্যয়ে)

Adestra পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায় ৮৫% কোম্পানি বলে ২০১৯ সালের মধ্য তারা সম্পুর্নরুপে ইমেইল মার্কেটং নির্ভর হয়ে যেতে পারে বলে আশা করা যায়। ৮৯% মার্কেটার মনে করে ব্যবসার জন্য গ্রাহক পাবার প্রাথমিক উপায় হল ইমেইল মার্কেটিং। ৭৬% কাস্টমার বলে যে তারা ইমেইলে পাওয়া তথ্য বা অফারের মাদ্ধমে কেনাকাটা করেন। আর পশ্চিমা বিশ্বের ৯৭% ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের গ্রাহক পায় ইমেইল মার্কেটিং থেকে।

Radicati.com এর এক রিপোর্টে বলা হয় ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তে ইমেইল ব্যাবহারকারির স্যংখা প্রায় ৩.৭ বিলিয়ন, যারা প্রতিদিন প্রায় ২৬৯ বিলিয়ন মেইল সেন্ড করে। একজন মার্কেটার মাত্রই জানেন এটা কত বড় মার্কেট। তাই আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চান ইমেইল মার্কেটিং শেখাটা হবে অত্যন্ত বুদ্ধিমানের কাজ।

কিভাবে করবেন ইমেইল মার্কেটিং?

ইমেইল মার্কেটিং করার জন্য প্রথমেই আপনার লাগবে মেইল লিস্ট। তো কাজটি আপনি করতে পারেন গ্রাহকদের মেইল কিনে ( এখান থেকে ইমেইল লিস্ট কিনতে পারেন ) অথবা নিজেই আপনার সার্ভিস নিতে আগ্রহী এমন গ্রাহকের মেইল সংগ্রহ করতে পারেন। নিচের ধারাবাহিক পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনিও পারেন ইমেইল মার্কেটিং করতে।

১. আপনার লক্ষ্য ঠিক করুন

প্রথমেই ঠিক করুন আপনি কি করতে চান? আপনি কি আপনার পণ্যর বিক্রি বাড়াতে চান? আপনার ব্রান্ড সম্পর্কে মানুষকে জানাতে চান? নাকি আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আনতে চান?

২. ইমেইল মার্কেটিং প্রভাইডার নির্বাচন করুন

আপনি কোন ইমেইল ক্লায়েন্ট থেকে হাজার হাজার মেইল পাঠাতে পারবেন না। তাই আপনাকে কোন ইমেইল মার্কেটিং প্রভাইডারের সাহায্য নিতে হবে। Mailchimp, AWeber, Getresponse এগুলোর সাহায্য নিতে পারেন।

৩. শুরু করুন লিস্ট বিল্ডিং

লিস্ট বিল্ডের সময় নিচের বিষয় গুলো খেয়াল রাখুন

গ্রাহককে বলুন মেইলটি দিলে সে কি সুবিধা পাবে।
আপনি তাকে স্প্যাম করবেন না।
আপনি কতবার তাকে মেইল পাঠাবেন।
আপনি তাকে কি কি ডিস্কাউন্ট দিবেন।
তার মেইলটি আপনার কাছে নিরাপদ।

৪. ইমেইল সাবজেক্ট এবং টেম্পলেট

মেইলে আর্কষনীয় সাবজেক্ট দিন। প্রয়োজন হলে ২০ মিনিট সময় নিন সাবজেক্ট লিখতে এবং রিসার্চ করুন গ্রাহক আসলেই কি ধরনের অফার নিতে চায়। কারন গ্রাহক দুই সেকেন্ডেই সিদ্ধান্ত নিবে সে আপনার মেইলটি খুলবে কি খুলবে না। একটি ভাল টেম্পলেট বাছাই করুন এবং সেখানে আপনার অফার সম্পর্কে কিছু তথ্য দিন।

৫. কতবার মেইল পাঠাতে চান তা নির্বাচন করুন

আপনি কি প্রতিদিন , সাপ্তাহিক নাকি মাসে একবার মেইল পাঠাতে চান তা নির্বাচন করুন।

৬. পর্যবেক্ষন করুন

এই ধাপেই আপনার আসল কাজগুলো কারতে হবে। এখানে দেখতে হবে আপনার মেইলের সাবজেক্ট ঠিক আছে কিনা, মেইল পাঠানোর টাইমিং, ছবি অথবা ছবি ছাড়া মেইল, মেইল কি ইনবক্সে ধুকছে নাকি স্প্যামে যাচ্ছে। এখান থেকেই বুঝতে পারবেন আপনার গ্রাহকরা মেইল কি ফ্রিকোয়েন্সিতে পেতে চাচ্ছে। কি কি ভুল হচ্ছে সেগুলো সংশোধন করুন।

৭. মেইল কালেকশন চালু রাখুন

মার্কেটিং একটি চলমান প্রক্রিয়া তাই আপনাকে পুরাতন গ্রাহকের সাথে সাথে নতুন গ্রাহকের দিকেও মনযোগ দিতে হবে। তাই ল্যান্ডিং পেজ, সার্ভে টুল, পপ আপ প্লাগিন, ফেসবুক ইত্যাদি মাধ্যম ব্যবহার করে মেইল সংগ্রহ করুন।

সর্বপরি একজন ভাল ইমেইল মার্কেটার হতে গেলে আপনাকে লক্ষ লক্ষ ইমেইল সংগ্রহ না করলেও চলবে এবং হাজার হাজার মার্কেটিং স্ট্রাটেজি না জানলেও চলবে। আপনাকে আপনার জন্য সঠিক স্ট্রাটেজি এবং সঠিক মেইল গুলো বাছাই করতে হবে। আর ইমেইল মার্কেটিংয়ের মত এত বিস্তারিত বিষয় একটি আর্টিকেলে লিখে শেষ করা সম্ভব নয়। ধন্যবাদ সবাইকে সময় নিয়ে পোষ্টটি পড়ার জন্য। সামনে দেখা হবে নতুন কনো বিষয় নিয়ে। তত দিন ভাল থাকুন।

ইবুক লিখে আয় করুন

ইবুক থেকে আয় করা একটি খুবই জনপ্রিয় পদ্ধতি । আপনি যদি ভালো লেখক হন তবে সহজেই ইবুক লিখে আয় করতে পারেন । ইবুক থেকে আয় একটি চলমান প্রক্রিয়া। আপনার বইটি যত বিক্রয় হবে আপনি তত বেশি মুনাফা পাবেন । যদি আপনি এই পদ্ধতিতে সফল হতে পারেন তবে একটি বই আপনাকে আজীবন মুনাফা দিয়ে যাবে ।

বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে ফ্রিলায়েন্সিং আয়ের ক্ষেত্র হিসেবে অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ফ্রিলায়েন্সার,ওডেস্ক, মাইক্রো ওয়ারকার্স, ইলেন্স ইত্যাদি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ফ্রিলায়েন্সিং সাইট প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে । শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সিং সাইটকে কেন্দ্র করে নয় এছাড়াও অনলাইনে আয়ের বিভিন্ন রকম নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে এবং তা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

মানুষ অফিসে বসে কিংবা ঘরের বাইরে বসে যে কোনো কাজ করার চেয়ে ঘরে বসে বসে কাজ করায় অনেকবেশী স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।বিশেষ করে বাংলাদেশের তরুণরা ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করতে অনেক বেশী আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এবং অনেক তরুন আজ অনলাইনে ভাল পরিমানের অর্থ আয় করছে।

আমরা এই নিবন্ধের মাধ্যমে অনলাইনে ঘরে বসে কাজ করে আয়ের একটি নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারবো। পদ্ধতিটির নাম হচ্ছে ইবুক থেকে আয়। আপনি যদি ভাল লেখক হন কিংবা আপনি যদি লেখালেখির প্রতি অনেক বেশী আগ্রহী হন, তবে আপনি সহজেই ইবুক লিখে তা অনলাইনে বিক্রি করে ভাল পরিমানের অর্থ আয় করতে পারেন। এই পদ্ধতিতে আপনার কোন ধরনের খরচ হবেনা। অর্থাৎ সম্পূর্ণ বীনা খরচে আপনি ইবুক লিখে এবং সেটা বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

কি কারনে বা কেন আপনি ইবুক লিখবেনঃ-

অনেকেই বলে থাকেন ইবুক লেখার জন্য তেমন কোন অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বা ভুল ধারনা।আপনাকে আপনার অভিজ্ঞতা আপনার লেখার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে হবে । তবে লেখালেখির উপরে যদি আপনার আগ্রহ খুব বেশী থাকে, তাহলে ইবুক লেখার সময় আপনি স্বস্তিবোধ করবেন এবং আজীবন ধরে সেই ইবুক থেকে ভাল পরিমানের অর্থ আয় করতে পারবেন।কারন, ইবুক হচ্ছে ডিজিটাল বই যা আপনি আপনার পছন্দমতো দাম নির্ধারণ করে যতবার খুশী বিক্রি করতে পারবেন এবং সেই ইবুক বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

কীভাবে ইবুক লিখবেন ?

ইবুক লেখার ব্যাপারে বেশ কিছু ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে। প্রথমে আপনাকে বিষয় নির্বাচন করতে হবে মনে রাখবেন ইবুক তৈরি এবং সেই ইবুকের সফলতার পেছনে যা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, তাহলো সেই ইবুকের টপিকস বা বিষয়। আপনাকে এমন কিছু বিষয় নিয়ে লিখতে হবে যা মানুষের খুবই প্রয়োজনীয় এবং পাঠককে খুব সহজেই আকৃষ্ট করবে। লেখার সময় ভাষার ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।লেখার কোন বানান যাতে ভুল না হয়, সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। মার্জিত ভাষা , সহজবোধ্য শব্দ, আকর্ষনীয় ভাষা ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে। প্রতিটি বাক্য পড়া মাত্র সহজে বুঝা যায় এমন ভাবে লিখার চেষ্টা করতে হবে। লেখার সাথে সাথে ছবি ব্যবহার করতে হবে যা আপনার ইবুকটিকে আকর্ষনীয় করে তুলবে।

আপনি চাইলে বিভিন্ন বিষয়ের উপরে ইবুক লিখতে এবং তা প্রকাশ করতে পারেই। তবে ইবুকের ব্যাবসায়িক দিক বিবেচনা করলে বর্তমানে যেসকল বিষয়ের উপরে মানুষের চাহিদা রয়েছে সেই সকল বিষয়ের উপর ভিত্তি করে ইবুক লিখা উচিৎ।

আপনি চাইলে ওয়েবসাইট, ব্লগ, ফ্রিল্যান্সিং, সাহায্যকারী বিভিন্ন টিপস এবং ট্রিক্স, এফিলিয়েট মার্কেটিং, টিউটোরিয়াল, আপনার সফলতা,টেকনোলজি ইত্যাদি বিসয়ের উপরে ইবুক লিখতে পারেন । তবে যে বিষয়টি সম্পর্কে আপনি অনেক বেশী জানেন এবং যে বিষয়টি আপনি ভাল বুঝেন বা যে বিষয়টিতে আপনার দক্ষতা বেশি সেই বিষয়ের উপরেই আপনার ইবুক লেখা উচিৎ বলে আমি মনে করি।

ইবুক লিখে আয়ঃ

ইবুক লিখে তা বিক্রি করে আয় করা অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার হলেও অভিজ্ঞ লোকদের কাছে তা খুব সহজ একটি পদ্ধতি। আপনি আপনার ইবুকটি বিক্রি করার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইটের সহায়তা নিতে পারেন অথবা নিজেই ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে ইবুক বিক্রি করে আয় করতে পারেন । আপনি আপনার যে ওয়েবসাইটে ইবুক বিক্রি করবেন সেই ওয়েবসাইটে ইবুক সম্পর্কিত মানুষকে সহজে আকর্ষন করবে এমন কিছু তথ্য দিয়ে রাখতে পারেন এবং ইবুকের বেশ কিছু দৃষ্টিনন্দন এবং সুন্দর ব্যানার দিয়ে রাখতে পারেন।

ইবুক সংক্রান্ত কিছু টিপসঃ

ইবুক লিখতে গিয়ে আপনার নিজেরও জ্ঞান বাড়বে যা বাস্তব জীবনে আপনার জন্য অত্যন্ত সহায়ক ভুমিকা পালন করবে।

আপনার পছন্দের বিষয়ের উপরে নির্ভর করেই আপনি ইবুক লিখতে পারবেন।

অনেক দেশে বহু মানুষ প্রফেশনাল ইবুক রাইটিংকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন। তাই আপনিও চাইলে হতে পারেন একজন প্রফেশনাল ইবুক রাইটার ।

পি.টি.সি অ্যাড দেখে আয়

অনলাইনে আয় করতে গেলে প্রথমেই আপনি যে কথাটা শুনবেন সেটা হচ্ছে পিটিসি (PTC). পিটিসি মানে হচ্ছে পেইড টু ক্লিক। কোন একটি সাইটে একাউন্ট করে বিভিন্ন লিংকে ক্লিক করে ডলার আয় করতে হয়।

সাধারন দুই ধরনের পিটিসি সাইট পাওয়া যায় অনলাইনে। ১. জেনুইন পিটিসি সাইট ২. ফেইক বা ভুয়া পিটিসি সাইট।

জেনুইন সাইটগুলো ঠিক মতো পেমেন্ট করবে। কিন্তু কত? সাধারনত প্রতি ক্লিকে ০.০০১ সেন্ট। বাংলাদেশি টাকার হিসেবে মাত্র ৮ পয়সা। ১০০০ ক্লিক করলে আপনি এক ডলার বা ৮০ টাকা আয় করবেন। আমার দৃষ্টিকোন থেকে এর চেয়ে ভিক্ষা করা ভাল, কারন একজন ভিক্ষুক প্রতি বারে কমপক্ষে দুই টাকা আয় করেন আর পিটিসি সাইট থেকে ২ টাকা আয় করতে হলে কমপক্ষে ২৫ টি ক্লিক করতে হবে এবং প্রতি ক্লিক এ আপনাকে ১০ থেকে ২০ সেকেন্ড অপেক্ষা করতে হবে।

এর চেয়ে বেশি পেমেন্ট যারা দেয় তারা সাধারন ফেইক বা ভুয়া সাইট।

পিটিসি সাইট থেকে আয়ের দু্টি উপায় খোলা আছে।

১. রেফারেলের মাধ্যমে

২. ইনভেস্ট করে

শুধু রেফারেলের মাধ্যমে যদি আপনি আয় করতে চান সেটাও আহামরি কোন আয় নয়। যে পরিমান শ্রম দিয়ে যে টাকা আয় করবেন তা দিয়ে হয়তো মাসে কয়েকবার চা নাস্তা খেতে পারবেন।

তাহলে পিটিসি থেকে ভাল আয়ের সর্বশেষ উপায় হচ্ছে ইনভেস্ট করা। রেফারেল কেনা। বেশ ভাল এমাউন্ট ইনভেস্ট করে অনেক অনেক রেফার কিনে হয়তো আপনি ভাল এমাউন্ট আয় করতে পারতেও পারেন। তবে এভাবে সফল হয়েছেন এমন ব্যক্তি অন্তত আমার নজরে পরে নাই।

আপনি যদি সত্যিকারের ফ্রীল্যান্সার হতে চান। আমার মনে হয় আপনার মন থেকে পিটিসি ঝেড়ে ফেলাই ভাল।

গুগল এডসেন্স কি

আমাদেরকে সবার প্রথমে জানতে হবে যে, গুগল এডসেন্স কি? গুগল এডসেন্স হল সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগলের একটা সার্ভিস। এটার মাধ্যমে গুগল ব্লগারদের ব্লগে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে এবং তার বিনিময়ে ব্লগারদেরকে টাকা দেয়। ব্লগ থেকে ইনকামের এটাই সবচেয়ে বড় এবং বহুল ব্যাবহৃত উপায়।

গুগল কেন আমাদেরকে টাকা দেয়?

গুগলের আরেকটা সার্ভিস আছে, যার নাম গুগল এডওয়ার্ড। গুগল এডওয়ার্ড এর মাধ্যমে গুগল বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা প্রতিষ্ঠানের কাছ তাদের ওয়েবসাইট বা প্রতিষ্ঠানের প্রচারনার চুক্তিতে টাকা নেয়। তারপর এডসেন্স সার্ভিসের মাধ্যমে গুগল বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা ব্লগে টাকা প্রদানকৃত ওয়েবসাইট বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করায়। এখন গুগল যত টাকা আয় করে তার থেকে ওয়েবসাইট বা ব্লগের মালিকদেরকে ৬৮% পরিমান অর্থ প্রদান করে এবং বাকি ৩২% অর্থ সার্ভিস পরিচালনা ব্যয় হিসেবে গুগল রেখে দেয়।

গুগল ওয়েবসাইট বা ব্লগের মালিকদেরকে মাসে কত টাকা দেয়?
কিছুদিন আগে আমাকে একজন প্রশ্ন করেছিল যে, গুগল আপনাকে মাসে কত টাকা দেয়। এরকম ধারণা অনেকেরই আছে যে কষ্ট করে গুগল এডসেন্স একাউন্ট পেয়ে গেলেই গুগল আমাকে মাসে মাসে টাকা দিবে। যাদের এরকম ধারণা আছে, তারা এবার কথাটা জানুন।

গুগল আপনাকে মাসে মাসে কোন টাকা দিবে না, কারন গুগল আপনাকে চাকরি দেয়নি। আপনার ব্লগের মাধ্যমে যদি গুগলের কোন ইনকাম না হয়, গুগল কেন আপনাকে টাকা দিবে?

এডসেন্স এর টাকার পরিমান নির্ভর করে ব্লগের ভিজিটর এর উপর। আপনার যদি প্রচুর ভিজিটর থাকে তাহলে আপনি ভালো আয় করতে পারবেন অন্যথায় পারবেন না। গুগল আপনার সাইটে বিজ্ঞাপন অর্থাৎ অন্য ওয়েবসাইট এর লিঙ্ক প্রদর্শন করাবে, এখন আপনার ব্লগের ভিজিটর যদি সেই লিঙ্কে ক্লিক করে বিজ্ঞাপন দাতার ওয়েবসাইটে যায় তাহলেই আপনি টাকা পাবেন।

কিভাবে টাকা হাতে পাব?

গুগল ব্লগারদেরকে দুই ভাবে টাকা দেয়। ১. Western Union এবং ২. ব্যাঙ্ক চেক এর মাধ্যমে। দুঃখ জনক হলেও সত্য যে, আমাদের দেশে Western Union এর মাধ্যমে টাকা দেয়া হয় না। ফলে আমাদের টাকা হাতে পেতে দেরি হয়। আপনার একাউন্টে $100 বা তার বেশি জমা হলে প্রত্যেক মাসের ২৩-২৫ তারিখের মধ্যে একটি ব্যাঙ্ক চেক আপনার ঠিকানায় পোস্ট করা হবে।

চেক আসতে নরমালি পোস্ট-অফিসের মাধ্যমে আনলে ২০-২৫ দিন সময় নেয়। এর আপনি যদি DHL কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আনেন তাহলে এক সপ্তাহের মধ্যেই পেয়ে যাবেন (এক্ষেত্রে ৩০ ডলার কেটে নেয়া হবে)। চেক হাতে পাওয়ার পর চেকটি যে কোন ব্যাঙ্কে জমা দিলেই আপনার একাউন্টে টাকা জমা হয়ে যাবে। টাকা জমা হতেও কিছুদিন সময় লাগে।

গুগলের এড ব্লগে বসালেই কি টাকা আসা শুরু হবে?

গুগলের এড ব্লগে বসালেই টাকা আসা শুরু হবে এটা আরেকটা ভুল ধারণা। অনেকেই মনে করেন ব্লগে এড বসালেই টাকা আসা শুরু হবে। আমি নিশ্চিত প্রত্যেক ব্লগারই এই কথা ভাবেন। কিন্তু এডসেন্স একাউন্ট পাবার পরে তারা আসল বিষয়টি বুঝতে পারেন। এটা ভাবা আসলে কোন দোষের কিছু নয়। আমিও একসময় এটাই ভাবতাম, কিন্তু এখন বুঝি যে আসলে এডসেন্স থেকে আয় করা এত সহজ না। এডসেন্স থেকে আয় করতে হলে আপনার প্রয়োজন হবে প্রচুর ট্রাফিক। অনেকেই বলেন যে আমার সাইটে দৈনিক ১০০০-১২০০ ভিজিটর আসে। তাদেরকে বলছি আপনি কি কখনো আপনার সাইটের বাউন্স রেট দেখেছেন? শুধু ভিজিটর আসলেই হবে না, ভিজিটর কে সন্তুষ্টও করতে হবে। একজন ভিজিটর যখন আপনার সাইটে সন্তুষ্ট হওয়ার মত কিছু পাবে, নিশ্চয় তখন কিছু সময় আপনার সাইটে থাকবে। এর যখন একজন ভিজিটর কিছুক্ষণ আপনার সাইটে থাকবে তখন আপনার সাইটে বিজ্ঞাপনের দিকে তার নজর দিবে এবং ক্লিক দিবে। অন্যথায় ভিজিটর এসে যদি আপনার সাইটে কিছু না পায়, তাহলে নিশ্চয় সে আপনার সাইটে থাকবেনা। সাইটে ভিজিটর না থাকলে বিজ্ঞাপনে ক্লিক পরার কোন সম্ভাবনা নেই। এর বিজ্ঞাপনে ক্লিক না পরলে টাকা আয়ের প্রশ্নই আসে না। এখন বলুন গুগলের এড ব্লগে বসালেই কি টাকা আসা শুরু হবে?

কিভাবে বুঝবেন আপনার সাইট এডসেন্স উপযোগী কিনা?

ব্লগিং স্কুলের ফেসবুক গ্রুপে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন যে, কিভাবে বুঝব আমার সাইট এডসেন্স উপযোগী কিনা? নিজের ব্লগটিকে এডমিন হিসেবে না দেখে ভিজিটর হিসেবে দেখুন। আমি নিশ্চিত আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। তারপরেও যদি বুঝতে না পারেন যে, আমার সাইটে কোন সমস্যা আছে কিনা। তাহলে সোজা গিয়ে এডসেন্স এ এপ্লাই করুন। আপনার সাইট ভালো হলে গুগল আপনাকে এডসেন্স দিয়ে দিবে অথবা কি সমস্যা আছে সেটা বলে দিবে। আমিও কিন্তু এভাবেই এডসেন্স পেয়েছিলাম। যাই হোক, ভালো মানের কন্টেন্ট লিখুন অবশ্যই এডসেন্স পাবেন। গুগল শুধুমাত্র কন্টেন্টই দেখে, ডিজাইনটা দেখে না। অনেকেই বলে যে, ভাই আমার সাইটের ডিজাইনটা দেখেন। আরে ভাই, ভিজিটর এসে কি বসে বসে আপনার ডিজাইন দেখবে? ডিজাইন এর পিছনে সময় নষ্ট না করে প্রচুর এবং ভালো কুয়ালিটির আর্টিকেল লিখুন।

এডসেন্স একাউন্ট এপ্রুভ হওয়ার প্রধান শর্ত সমুহঃ

অবশ্যই ১০-১২ ভালো কুয়ালিটির আরটিকেল থাকতে হবে।
অন্য কোন কোম্পানির এড থাকা যাবে না।
পপ-আপ উইন্ডো যেমনঃ ফেসবুক লাইক বক্স থাকা যাবে না।
কপি-পেস্ট কন্টেন্ট থাকা যাবে না।
কপিরাইট আইন ভঙ্গ করে এমন কিছু রাখা যাবে না।
এডাল্ট, হ্যাকিং, কোন জাতি বা গোষ্ঠীকে নিয়ে ব্যাঙ্গ করা হয়েছে এমন কোন কন্টেন্ট থাকা যাবে না।
অনেকে বলেন ভালো ভিজিটর থাকতে হবে। আমি বলি না, কোন ভিজিটরের প্রয়োজন নেই (সম্পূর্ণ আমার মতামত)।
গুগল সমর্থন করে না এমন কোন ভাষার কন্টেন্ট থাকা যাবে না। (যেমনঃ বাংলা ভাষা গুগপ্ল সমর্থন করে না)
টপ লেভেল ডোমেইন হতে হবে। অর্থাৎ সাব-ডোমেইন হলে একাউন্ট এপ্রুভ হবে না। (তবে ব্লগস্পট এর বিষয়টা আলাদা)
এই বিষয় গুলি মেনে চললেই আপনি পেয়ে যেতে পারেন এডসেন্স একাউন্ট। আর নিয়মিত পরিশ্রম করলে একদিন আপনিও মাসে আয় করতে পারবেন হাজার হাজার ডলার।

কিভাবে একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ থেকে আয় করা যায়

শুরুতেই বলে নেই, নতুনদের মাঝে ওয়েবসাইট বা ব্লগ নিয়ে বেশ ভাল কনফিউশন দেখা যায়। আসলে ব্লগ হচ্ছে এক ধরনের ওয়েবসাইট যেখানে নিয়মিত বিভিন্ন বিষয়ে লিখালিখি করা হয়। সেটা হতে পারে যে কোন বিষয়। আর ওয়েবসাইট হচ্ছে এক ধরনের সাইট যেখানে সাধারণত তেমন কোন চেঞ্জ হয় না, বা যেখানে লিখালিখির ব্যাপার থাকে না। আপনি ওয়েবসাইট বা ব্লগ যেটাই করুন না কেন সেখান থেকে অবশ্যই আয় সম্ভব। চলুন সামনের দিকে এগুনো যাক।

ওয়েবসাইট / ব্লগ থেকে আয় করার অনেক পদ্ধতি রয়েছে। নিচে সংক্ষেপে কয়েকটি পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হলঃ
১. বিজ্ঞাপন থেকে আয়ঃ আপনার ওয়েবসাইটে যদি বেশ ভাল ট্রাফিক (ট্রাফিক হচ্ছে ভিজিটর বা মানুষ যারা আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করবে) থাকে তাহলে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে অন্যান্য কোম্পানীর বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করিয়ে সেখান থেকে আয় করতে পারেন।

যেমন- আমরা প্রায় সময়ই বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ঢুকলে ওয়েবসাইটের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন পন্যের বিজ্ঞাপন দেখে থাকি। এই জাতীয় বিজ্ঞাপন গুলো ওয়েবসাইটে প্রদর্শন করানোর মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারেন। আপনার ওয়েবসাইটে যে কোম্পানির বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করাবেন সেই কোম্পানী আপনাকে একটি নির্দিষ্ট মূল্য পে করবে তাদের বিজ্ঞাপন আপনার ওয়েবসাইটে প্রদর্শন করানোর জন্য।

তাহলে এবার বলতে পারেন, এই সকল কোম্পানির বিজ্ঞাপন পাব কোথায়? এই ধরনের বিজ্ঞাপন পাওয়ার জন্য অনলাইনে অনেক জনপ্রিয় সাইট আছে (যেমন- গুগল অ্যাডসেন্স)। এই সকল সাইট থেকে কিভাবে অ্যাড নিবেন এবং কিভাবে আয় হবে সেটা নিয়ে ইনশাআল্লাহ পরবর্তীতে বিস্তারিত আলচনা করা হবে। এখন শুধুওয়েবসাইট থেকে আয় করার কিছু প্রসেস সম্পর্কে জানি।

২. নিজের কোন পন্য বিক্রি করে আয়ঃ আপনার ওয়েবসাইট যদি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং প্রতিদিন বেশ ভাল ট্রাফিক থাকে তাহলে আপনি আপনার নিজের তৈরি করা কোন পন্যের বিজ্ঞাপন সেখানে দিতে পারেন এবং সেখান থেকে আপনি আপনার পন্যের জন্য বেশ ভাল সেল পেতে পারেন। তবে এটা শুধুমাত্র, যদি আপনার তৈরি করা কোন প্রোডাক্ট থাকে তাহলেই সম্ভব। আপনার যদি বিক্রি করার মত কোন পণ্য না থাকে তাহলে এই ক্ষেত্রে সম্ভব নয়।

৩. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়ঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে অনেকটা সেলসম্যান এর মত। এখানে, আপনাকে বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য বিক্রি করে দিতে হবে এবং প্রতিবার যখন আপনি অন্য কোম্পানির কোন পণ্য আপনার নিজের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন তখন আপনাকে সেই বিক্রয়কৃত অর্থ থেকে কমিশন দেয়া হবে। আপনি চাইলে আপনার ওয়েবসাইটে এই জাতীয় মার্কেটিং করতে পারেন। নিজের সাইট বা ব্লগ করে আমাদের দেশে অনেকেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করছেন। কাজেই আপনিও এই জাতীয় কাজ করে আয় করতে পারেন।

৪. ইমেইল কালেকশনঃ আমরা সবাই মোটামুটি কম বেশি নেট থেকে বই, গান, ভিডিও ইত্যাদি ডাউনলোড করে থাকি। তবে, মাঝে মাঝে বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে বই বা মুভি ডাউনলোড করতে গেলে আমরা দেখে থাকি আমাদের ইমেইল অ্যাড্রেস দিতে বলে। আমরা ইমেইল অ্যাড্রেস দিলে তারপর আমাদেরকে সেটা ডাউনলোড করতে দেয়। কিন্তু কেন এমনটা হয়, কেন ইমেইল এর ঠিকানা চায় ওই ডাউনলোড সাইট গুলো? এটা হচ্ছে এই জন্য যে, আপনি গান ডাউনলোড করার সময় আপনার যে ইমেইল এড্রেসটি দিবেন সেটি ওই ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ সংরক্ষন করে রাখবে। এই ভাবে যতজন ওই গানটি ডাউনলোড করতে তত জনের ইমেইল অ্যাড্রেস তার কাছে থাকবে।

এই ভাবে ধরলাম, ১০০০ জনের ইমেইল ওই ওয়েবসাইটের মালিকের কাছে জমা হল। এবার তিনি ওই ১০০০ ইমেইল অ্যাড্রেস বিভিন্ন ইমেইল মার্কেটারদের কাছে বিক্রি করতে পারবেন। কারন, অধিকাংশ ইমেইল মার্কেটিং এর জন্য অ্যাক্টিভ ইমেইল অ্যাড্রেস এর তালিকা প্রয়োজন পরে। এই জন্য বিভিন্ন ইমেইল মার্কেটাররা ইমেইল অ্যাড্রেস কিনে নেয় নিজেদের মার্কেটিং করার জন্য। আর আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে এবং আপনি এইভাবে ইমেইল অ্যাড্রেস সংগ্রহ করতে পারেন, তাহলে আপনিও এই ইমেইল অ্যাড্রেস গুলো বিক্রি করে আয় করতে পারেন।

কিন্তু সব কথার বড় কথা হল, ওয়েবসাইটে যদি ট্রাফিক বা ভিজিটর না থাকে তাহলে কোন লাভই নেই। কারন, যে সাইটের ভিজিটর নেই সেই সাইটে কেউই টাকা খরচ করে বিজ্ঞাপন দিবে না। আর তাই যে কোন ওয়েবসাইট আপনার আয়ের উৎস তখনই হবে যখন আপনার সাইটটি জনপ্রিয় হয়ে উঠবে এবং প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ লোক আপনার সাইট ভিজিট করবে। কিন্তু এই পর্যায়ে একটি ওয়েবসাইটকে নিয়ে আসার জন্য প্রয়োজন প্রচুর পরিশ্রম আর ধৈর্য্য।

ইউটিউব চ‍্যানেল কিভাবে খুলবেন


১. প্রথমেই আপনার একটি Gmail Account লাগবে। আপনার সঠিক ইনফর্মেশন দিয়ে একটি Gmail Account তৈরি করে নিন। Gmail Account কিভাবে তৈরি করতে হয় তা আমরা সকলেই ভালো করে জানি। আর যদি কারো না জানা থাকে তাহলে নিচে দেওয়া ভিডিওটি দেখুন

https://youtu.be/tP3sA3A3H1k

২. ইউটিউব.কম গেলে আপনার জিমেইল এর নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি হয়ে যাবে। এখন প্রথম কাজ শেষ।

  1. Click On Your Avatar>Creator Studio>Channel>Advanced এ যান। আপনার Country বাংলাদেশ থেকে ইউনাইটেড স্টেট্‌স এ পরিবর্তন করুন অথবা ইন্ডিয়া।
  2. Channel>Status and Features এ আপনার মোবাইল নাম্বার দিয়ে চ্যানেল ভেরিফাই করুন।
  3. ১৫ মিনিটের দীর্ঘ ভিডিও আপলোড করার জন্য Longer Videos Enable করে নিতে পারেন। আরো ভালো করে জানার জন‍্য নিচের
    ভিডিওটি দেখুন

https://youtu.be/x2xMy4yuQGM

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সম্পর্কে আমরা হয়ত কম-বেশি সকলেই জানি। সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলতে আমরা ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, লিঙ্কডিন, পিন্টারেস্ট, গুগল প্লাস এই গুলাকেই বেশি বুঝে থাকি। বর্তমান জগতে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মধ্যে ফেসবুক আর ইউটিউব অনেক অনেক বেশি কার্যকরী। সারা পৃথিবীতে অনেক গুলো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং আছে। তার মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু দেশে নির্দিষ্ট কিছু সোশ্যাল মিডিয়া খুব বেশি কার্যকর। যেমন- ইন্ডিয়াতে ইউটিউব, ইন্সটাগ্রাম, হোয়াটস অ্যাপ, ইমো, ভাইবার এই সোশ্যাল মিডিয়া খুব বেশি জনপ্রিয়। আবার আমেরিকাতে পিন্টেরেস্ট ও রেদ্দিট অনেক বেশি জনপ্রিয়, রাশিয়াতে ভিকে, স্তাম্বলআপন ও টুইটার অনেক বেশি জনপ্রিয়। ঠিক তেমনই বাংলদেশে ফেসবুক, ইউটিউব এই গুলো অনেক জনপ্রিয়। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সবসময় কার্যকর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন মানুষের কার্যকলাপের উপর। আমার ফেসবুক এর মাধ্যমে যে মার্কেটিং করি তা ফেসবুক মার্কেটিং এর অন্তগত। ঠিক একইভাবে ইউটিউবে আমরা যে ভিডিও শেয়ার করে বা পোস্ট করে যে মার্কেটিং করি তা ইউটিউব মার্কেটিং এর অন্তগত।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি কারনে প্রয়োজন?

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বর্তমান সময়ের জন্য সব থেকে বড়ো গুরুত্বপূর্ণ। কেননা একটা সময় মানুষ টেলিভিশন দেখে বিনোদন নিতো, সংবাদ দেখত, খেলা দেখত। এই সব কিছুর জন্য টেলিভিশনই ছিল তাদের একমাত্র ভরসা। এর জন্য তাদেরকে সব সময় টেলিভিশন এর সামনে বসে থাকতে হত অথবা দেখা যেত টেলিভিশন এর নির্দিষ্ট সময়ে তাদেরকে অপেক্ষা করতে হত। কিন্ত এখন সময়টা পাল্টেছে, আপনি এখন চাইলে যেকোনো সংবাদ, বিনোদন, খেলাধুলা এই সব নিউজ দেখতে ও পরতে পারবেন খুব সহজে এবং যখন তখন। তাহলে বুঝতেই পারছেন সোশ্যাল মিডিয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে। আপনি চাইলে এই গুরুত্ব টাকেই কাজে লাগিয়ে মার্কেটিং করতে পারেন। আপনি আপনার ওয়েবসাইট এর প্রোডাক্ট গুলো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া তে শেয়ার করে দিন। একটা সময় পর এর ফলাফল খুব ভালভাবে দেখতে পাবেন। সমগ্র পৃথিবী এখন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর উপর নির্ভরশীল। আপনি একটু ছিন্তা করে দেখুন না, আপনি লাস্ট কবে ফেসবুক বা ইউটিউব ব্যবহার করেন নি। তাহলে খুব সহজেই বুঝতে পারবেন এটার গুরুত্ব কতখানি।

Breakfast at my House

During the week we’re often walking out the door with a coffee in one hand and slice of toast in the other, but on weekends breakfast is never rushed. It’s a late affair, sometimes spilling over to lunch, with lots of reading and chatter in between courses of fruits, poached eggs, honey and toast. One of our favorite things we like to serve when friends are visiting are buckwheat blueberry pancakes.

Design a site like this with WordPress.com
Get started